এখনো আ’লীগ ঠিকাদারের দখলে টেন্ডার
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ৬ মাস হলেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মালামাল ও যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দরপত্রগুলো পতিত আওয়ামী সরকারের দলীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয়া হয়েছে। আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টেন্ডার ছাড়াই অনুমোদিত কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্প অতিরিক্ত ক্ষমতার চার্জ পাচ্ছে, যা তাদের প্রাপ্য পরিমাণের চেয়ে ৭৩ শতাংশ বেশি। আবার ক্যাপাসিটি চার্জ এনটাইটেলমেন্ট নিজেই একটি বিতর্কিত ব্যবস্থা যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিনিয়োগকারীদের তাদের পরিষেবার মানের পরিবর্তে তাদের বিনিয়োগের ভিত্তিতে মোটা মুনাফা প্রদান করা হয় দলীয় ঠিকাদাদের।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.রেজাউল করিমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কথা বলতে চাননি। তবে অফিসে আসতে বলেন।
আইইবির সভাপতি দাউদকান্দি থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি সবুর খানের প্রভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েভার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশিরভাগ কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তাকে এ কাজে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খালেদা মাহমুদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও তাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ দেয়া ব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে পিডিবির গুরুত্বপূর্ণ শাখা ডিজাইন পরিদপ্তর থেকে একাজ বিতরণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারেক আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, হেদায়েতুল্লাহ ও জাকিরুল ইসলাম এর সহযোগিতায় শত শত কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেয়। এদের মধ্যে তারেক আব্দুল্লাহ ও জাকিরুল ইসলাম নিজেদের স্ত্রীদের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেরাই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয়। তার মধ্যে অন্যতম জে এন্ড সি, ইরা, এম আর এম, মাইক্রোটেক, কম্পিউটার বিডি, অনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, আইকনিক, পাওয়ার ব্রিজ, এম এম কর্পোরেশন, রহমানিয়া ও প্রিমিয়ার ট্রেড সিন্ডিকেট অন্যতম। জামালপুর থেকে নির্বাচিত এমপি নুর মোহাম্মদ জেএন্ডসির কর্ণধার। ডিপিএম ছাড়াও বেশিরভাগ কাজ উনি বাগিয়ে নিতেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে। এই সব কাজে তাক পূর্ণ সহযোগিতা করতেন পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ পিডিবি শাখা। নূর মোহাম্মদ এর ভাতিজা বাবু এই সব কাজ তদারকি করতেন। কোন ইঞ্জিনিয়ার তাদের এইসব কাজে নিয়মের বাইরে সহযোগিতা না করতে চাইলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন এবং বদলি ও মামলার ভয় দেখাতেন। ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপিও সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সহযোগিতায় ঊৎধ ও গজগ বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজগুলো বাগিয়ে নিতেন। ডিপিএম ছাড়াও ডিস্ট্রিবিউশনের বিভিন্ন কাজে পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ হয়েও উপরের চাপে কাজ নিতেন। সিআরএস ও জেডআরএস এ শত কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেন। বিল নিলেও এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি। পিডিবির আরেক মাফিয়া ব্যবসায়ী মাইক্রোটেকের কিবরিয়া। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদের বিয়াই। যার প্রভাবে তিনি মন্ত্রণালয় ও উপরের প্রভাবে সর্বনিম্ন দর দাতা না হয়েও কাজ পেয়ে যেতেন। উনি খুবই নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করেন। ইত্যাদি আইটেম গুলি উনি উপর মহলের প্রভাব খাটিয়ে ইন্সপেকশন রিপোর্ট সই করিয়ে নিতেন। কেউ সই করতে রাজি না হলে কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি বানিয়ে পাস করিয়ে নিতেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারের প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার বিডি প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্টে শত শত কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতেন। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট প্রজেক্টে ইরা মাইক্রোটেক ও কম্পিউটার বিডি মিলে শত শত কোটি টাকার কাজ সমঝোতা করে নিজেদের নামে হাতিয়ে নেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ছিলেন এম এম কর্পোরেশনের হাবিব এর পার্টনার। ক্রয় পরিদপ্তরের দায়িত্বে থাকার কারণে এম এম এর নামে কাজ দেওয়া সহজ হয়ে যায়। মিটারের কাজগুলো অধিক দামে দিয়ে দিতেন। পিডিবি, ডিপিডিসি ও ডেসকোতে একই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি সারোয়ার ও সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিমের আশীর্বাদে অনিক্স ইন্টারন্যাশনালের মোশাররফ, রাউজানের বেশিরভাগ ডিপিএম করেন।
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সচিবালয়ের লোকজনের চাপে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানি আইকনিক এর নামে কাগজপত্র ছাড়াই চাপ দিতেন। জামালপুরের ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতিষ্ঠান রাহমনিয়া বাঘাবাড়িতে মটর ও ফেঞ্চুগঞ্জের কেনাকাটায় বড় অংকের কাজ বাগিয়ে নেন অনেক চড়া দামে। সম্প্রতি বিবিয়ানতেও একই প্রক্রিয়ায় বড় অংকের কাজ বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মালিক আওয়ামী লীগ এর সাবেক সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ভাতিজা সহিদ ভান্ডারী চাচার প্রভাব খাটিয়ে নিম্ন মানের মালামাল সরবরাহ করেন যার বেশীরভাগ মালামাল পরবর্তীতে ব্যবহার করা সম্ভব হতোনা। এই চক্রগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। তাই এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দোষী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ অনিয়ম করতে না পারে। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের অনেক অফিসার ও তাদের সাথে জড়িত। তাদেরকে চিহ্নিত করে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বদলী করে দক্ষ অফিসারদের দিয়ে এদের অনিয়ম বের করা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক টেন্ডার ছাড়াই অনুমোদিত কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্প অতিরিক্ত ক্ষমতার চার্জ পাচ্ছে, যা তাদের প্রাপ্য পরিমাণের চেয়ে ৭৩ শতাংশ বেশি। ক্যাপাসিটি চার্জ এনটাইটেলমেন্ট নিজেই একটি বিতর্কিত ব্যবস্থা যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিনিয়োগকারীদের তাদের পরিষেবার মানের পরিবর্তে তাদের বিনিয়োগের ভিত্তিতে মোটা মুনাফা প্রদান করে। ক্যাপাসিটি চার্জ হল একটি পরিমাণ অর্থ, যা প্রায়শই ডলারে প্রদান করা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা ভাসমান স্টোরেজ এবং গ্যাস সরবরাহকারী পুনঃ গ্যাসিফিকেশন ইউনিট নির্বিশেষে সরকার কর্তৃক প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ খাতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কীভাবে জনসাধারণের অর্থ ব্যক্তিগত পকেটে স্থানান্তর করেছিল তা ব্যাখ্যা করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বিপিডিবি বিশ্লেষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে লুণ্ঠনমূলক মুনাফা অর্জনকারী কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগের অভাবও তুলে ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাত অর্থ পাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা বলেছেন।
৫ আগস্ট, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ক্ষমতা গ্রহণকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ বিদ্যুৎ আইন বাতিল করে, যার অধীনে পূর্ববর্তী সরকার টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন করেছিল, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালু থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এই বলে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হবে। বিপিডিবি বিশ্লেষণে ছয়টি ফার্নেস-তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ ব্যয়ের তুলনা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতিযোগিতা মূলকভাবে, দরপত্রের মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছিল, অন্য তিনটি টেন্ডার ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। ১০০ মেগাওয়াট থেকে ১৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে দরপত্র প্রদান করা হয়। নভেম্বর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২ সালের মধ্যে ১৫ বছরের জন্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে তারা। বিডির মাধ্যমে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি হল ১৬৩ মেগাওয়াট বি-আর পাওয়ারজেন। যা যৌথ মালিকানাধীন বিপিডিবি এবং রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ১০৫ মেগাওয়াট আরপিসিএল, যার মালিকানাধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং ১৪৯ মেগাওয়াট এসিই অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড, যার ৬৪ শতাংশ মালিকানাধীন সামিট পাওয়ার। টেন্ডার ছাড়াই স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি হল ১০৪ মেগাওয়াট ওরিয়ন পাওয়ার সোনারগাঁও লিমিটেড, ১১৩ মেগাওয়াট কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-১ লিমিটেড এবং ১০০ মেগাওয়াট অ্যাকর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস ইউনিট-৩ লিমিটেড। নির্মাণ খরচ তুলনা করার পর, বিপিডিবি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে দুটি সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইনস্টলেশন খরচ প্রতি মেগাওয়াট প্রায় ৮ লক্ষ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সাধারণত বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় বেশি খরচ হয়। বিশ্লেষণে ইকুইটির উপর সমান রিটার্ন, লিবর এবং সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য স্থির সুদের হার বিবেচনা করা হয়। সরকারি ঋণের মাধ্যমে নির্মিত, বি-আর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে প্রতি মেগাওয়াট প্রতি মাসে ক্ষমতা চার্জ হিসেবে ৫.২২ অনুমোদিত ছিল, যা বাণিজ্যিক ঋণ নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে প্রতি মেগাওয়াট প্রতি মাসে ৮.৩৭ হতে পারত বিশ্লেষণে দেখা গেছে। বাণিজ্যিক ঋণের মাধ্যমে নির্মিত আরপিসিএল-জিআই পিপিএ, প্রতি মেগাওয়াট প্রতি মাসে ক্ষমতা চার্জ হিসেবে ৮.৩৫ অনুমোদিত ছিল, যা এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৃত ক্ষমতা চার্জের চেয়ে কম ছিল,৮.৪৪ মেগাওয়াট/মাস, বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এস অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড ৮.৮১ মেগাওয়াট/মাস ক্ষমতা চার্জ হিসেবে চচঅ পেয়েছে, যা বিশ্লেষণ অনুসারে ৭.৯৯ মেগাওয়াট/মাস হওয়া উচিত তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। কনফিডেন্স পাওয়ারের পিপিএ মাসে ১৩.৭৯ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে, যা প্রকৃত হারের চেয়ে ৭৩ শতাংশ বেশি ৭.৯৯ মেগাওয়াট/মাস, বিপিডিবি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। অ্যাকর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের পিপিএ মাসে ১২.৭৫ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদানের অনুমতি দিয়েছে ৭.৯৯ মেগাওয়াট-মাসের যুক্তিসঙ্গত হারের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। ওরিয়ন পাওয়ারের পিপিএ মাসে ১২.৬৪ মেগাওয়াট/মাস, যা $৭.৯৯ মেগাওয়াট/মাসের যুক্তিসঙ্গত হারের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি, বিপিডিবি বিশ্লেষণে প্রকাশিত হয়েছে। এসব কাজ আওয়ামীলীগের দলীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে নেয়া হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে টেন্ডার ছাড়াই বিশেষ বিদ্যুৎ আইনের অধীনে গৃহীত অন্যান্য সমস্ত বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পাওয়া যেত, সবুজ কর্মীদের একটি জোট বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্য সচিব হাসান মেহেদী বলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান বন্ধ করার উদ্যোগের অভাব উদ্বেগের বিষয় তিনি বলেন। গত ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বর্ধন আইনের অধীনে ১০০টিরও বেশি বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন করে, যার ফলে ২০০৯ সালে প্রায় ৫,০০০ মেগাওয়াট থেকে ২০২৪ সালে ২,৮০০ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ পাওয়ার ক্ষমতা বাদ দিয়ে প্রায় ২৮,০০০ মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ আইনের অধীনে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তিগুলিতে শর্তাবলী মেনে চলা হয়েছিল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোলরক্ষক বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড হারাল আর্সেনালকে
৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতদূর?
মর্গের দুই লাশের দাবিদার দুই পরিবার,
আইনজীবীকে হত্যার হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
তথ্য থাকলেও সন্দেহজনক লেনদেনে দেরিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএফআইইউ!
সাবেক এমপি হেনরীর ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ,
গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে উৎকণ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের অপসারণে আইনি নোটিশ
চকরিয়ায় পুলিশ-সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি: বসতবাতিতে আগুন, ওয়ার্ড মেম্বারসহ আহত ২
স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড